![]() |
[শতবর্ষী বটগাছ] |
আমাদের গ্রামের বাড়ীর পাশে বিশাল বিস্তৃত আবাদি ভূমি। তার মাঝ দিয়েই বয়ে গেছে পায়ে হাঁটা প্রশস্ত খোলা পথটি। পথের পাশেই বিরাট একটি শতবর্ষী বটগাছ। গ্রীষ্মের আলস্য দুপুরে ছাতিফাটা রোদ যখন খাঁ খাঁ করে—গায়ের চাষীরা মাঠের কাজ ফেলে ক্লান্ত দেহে তার ছায়ায় আশ্রয় নেয়। তখন তাদের দেখে মনে হয়, সেটা এক আশ্রয়কেন্দ্র। পথিকরা তার ছায়ায় একটু জিরোয়। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ঝেড়ে ফেলে পথের ক্লান্তি— এ যেন এক পান্থশালা। গাঁয়ের রাখাল ছেলেরা আসর জমায়— লুডু, পাইতা আরও নাম না জানা নানা খেলায়। বটমূলে ভীর জমায় গায়ের সাধারণ মানুষগুলোও। গোধূলিলগ্নে সূর্য্যের আলো যখন নিভে যায়, দলে দলে পাখির ঝাঁক উড়ে আসে, উদরপূর্তি করে। কিচিরমিচির রবে মুখরিত হয়ে উঠে আশপাশ। মনে হয়, সারাদিনের কার্যবিবরণী বলে দেয় বটগাছকে। এ যেন তাদের মিলন মেলা। আমার কেবল ইচ্ছে জাগে— আমি যদি হতাম বটগাছ কিংবা বটমূল! আমারও যদি থাকতো বিশাল বিস্তৃত ছায়া! মানুষ আমার ছায়ায় আশ্রয় নিতো কিংবা ক্লান্ত পথিক একটু দাঁড়াত! সন্ধ্যে নামার আগেই পাখিরা আশ্রয় নিতো! সবকিছুই বিসর্জন দিতে পারতাম পরকল্যাণে!
বাইশ/বারো/একুশ
No comments:
Post a Comment